Advertisement |
তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। আমাদের একটা দোকান ছিল। আমাদের পাড়াতেই, মুদি দোকান, চাল ডাল হতে প্রায় অনেক কিছুই পাওয়া যেত।
.
ওই দোকানে রাতে শোয়া লাগতো। আমার ভাইয়া অনেক দিন ঘুমাইছে। তারপর ভাইয়ার ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগে থেকেই সেই দায়িত্বটা আমার উপরে এসে পড়ে।
.
আমিও মহা খুশি ছিলাম। রাতে একা একা থাকা যাবে। যতক্ষণ ইচ্ছা রাত জেগে গল্পের বই পড়া যাবে। আহা শান্তি। খেলা থাকলে খেলা দেখা যাবে। রাতে বাড়ির বাইরে থাকা যাবে, এইটা ভেবেই তো আমি মহাআনন্দে ছিলাম।
.
বাড়িতে থাকতে বই পড়তে অনেক কষ্ট হত, তখন আবার আমাদের বাড়িতে কারেন্টও ছিল না। (এখনও নাই তবে সাইড লাইন আছে।) প্রচণ্ড গরম কিন্তু তারমাঝেও কাঁথা মুড়ি দিয়ে একটা গ্যাস লাইট জ্বালিয়ে ঘামতে ঘামতে বই পড়তাম। কাঁথার ভিতরে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হত তাও কাঁথা সরাতাম না। কারন তাহলে আব্বার কাছে ধরা পড়ে যাব, আর এটার শাস্তি হবে ভয়ানক।
এইসব কারনে দোকানে শোয়া নিয়ে খুব উৎসাহিত ছিলাম।
.
আর ওই (এখনো) বয়সে নিজেকে বড় প্রমান করতে আমরা খুবি চেষ্টা করি। বন্ধুমহলে এই বিষয়টা নিয়ে আমি খুবই গর্ব করতাম। আমি রাতে এই করি ,সেই করি, এটা খাই, সেটা খাই এবং এগুলা সত্যিও ছিল।
.
আমি টানা ৫বছর ধরে ঘুমাইছি দোকানে। অনেক অনেক মজার ঘটনা আছে এই ৫বছরে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনের ঘটনা গুলো অনেক মজার ছিল আবার কষ্টেরও ছিল।
.
আজকে বৃষ্টি হওয়াতে সেগুলো মনে পড়ে গেল। মনে করছিলাম বলবো, কিন্তু ভূমিকা নিতেই পোষ্টটা বড় হয়ে গেছে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে জানি বড় পোষ্ট মানুষ পড়ে না।
.
আজকে ভূমিকা টুকুই থাকুক। পরে বিস্তারিত বলবো।
0 comments: